ভিডিওর সূত্র ধরে যাত্রাবাড়ী থানা গোয়েন্দা সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে। ঘটনার পরপরই হৃদয় পালিয়ে যান এবং বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে শুরু করেন। দীর্ঘদিন বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে অবশেষে গতকাল সোমবার তাঁকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
রাফি এই নারীপাচার চক্রের মূল হোতা। কিশোরী–তরুণীদের টিকটক তারকা বানিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ উপার্জনের লোভ দেখাতেন তিনি। প্রথমে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতেন। ঢাকা ও ঢাকার বাইরে বিভিন্ন রিসোর্টে তাঁদের নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো।
দেশ থেকে পাচার হওয়ার ৭৭ দিন পর পালিয়ে ফিরে এসেছেন নৃশংস অত্যাচারের শিকার তিনজন কিশোরী। টিকটক হৃদয়ের মাধ্যমে ২০২১ সালে ১৯ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পার করা হয় তাঁদের।
এই তিন তরুণীর দাবি তাদের পাঁচজনকে একসঙ্গে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁরা তিনজন পালিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন। নির্যাতনের শিকার ভাইরাল তরুণী ছাড়াও আরেক তরুণী এখনো সেখানে আছেন
টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হতো না তাঁর। গত ১৮ মার্চ হঠাৎ নিখোঁজ হওয়ার পর একবারই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। ১৩ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে জানায়, ভারতের একটি পতিতালয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে
ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে হৃদয় বাবুর নারী পাচারের নানান তথ্য। টিকটকের মাধ্যমে পরিচয় হওয়ার পর তরুণীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলত হৃদয়। শনিবার পর্যন্ত তিনজন তরুণীর খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। যাদের ভারতে পাচারের পর জোর করে দেহব্যবসাতে বাধ্য করেছে হৃদয় ও তার গ্যাংয়ের ভারতীয় সদস্যরা
ভাইরাল হওয়া ভারতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় করা মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় বাংলাদেশি আসামিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।
ভারতের কেরালা রাজ্যের একটি হোটেলে এক নারীকে নির্যাতনের ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। বেঙ্গালুরু পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী ওই নারী এখন অন্য রাজ্যে আছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। তাঁকে পেলেই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠিয়ে জবানবন্দি নেওয়া হবে।
নির্দেশ দেওয়ার পরও অবৈধ কনটেন্ট মুছে না ফেলায় টুইটারকে ১৯ মিলিয়ন রুবল (২ লাখ ৫৯ হাজার ডলার) জরিমানা করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোর তাগানস্কি জেলা আদালত এই জরিমানা করে।
নির্যাতনের শিকার ওই তরুণী এবং নির্যাতনকারীদের একজন রাজধানীর হাতিরঝিলের বাসিন্দা। ‘টিকটক হৃদয় বাবু’ নামে পরিচিত তিনি। ওই তরুণী ও অভিযুক্তরা সবাই এখনো ভারতে অবস্থান করছেন